ফুটবল গোলের খেলা। যত গোল তত উত্তেজনা, তত লড়াই। তাই বলে এক ম্যাচেই ৬০ গোল! অবিশ্বাস্য বা হাস্যকর যাই বলা হোক না কেন, এমন ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাও একটি নয়, দুটি। সেখানে দুই ম্যাচে গোল হলো ৯৪টি! দক্ষিণ আফ্রিকান চতুর্থ বিভাগের ওই দুটি ম্যাচের একটি শেষ হয়েছে ৩৩-১ গোলে এবং অন্যটি শেষ হয়েছে ৫৯-১ গোলে। আরও অবিশ্বাস্য তথ্য হলো— এই ৯৪ গোলের মধ্যে ৪১টি-ই হয়েছে আত্মঘাতী থেকে!
চোখ বুজেই বলা যাচ্ছে— ফিক্সিংয়ে ভরপুর ছিল ম্যাচ দুটি। তাই দেশটিতে সেই দুই ম্যাচের ঘটনায় তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল কর্তৃপক্ষেরও।
ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন ওই দুই ম্যাচের যে চার ক্লাবের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে তাদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। ক্লাবগুলো হলো— মাতিয়াসি এফসি, শিবুলানি ডেঞ্জারার্স টাইগার্স, কটোকো হ্যাপি বয়েজ এবং এনসামি মাইটি বার্ডস। শুধুমাত্র ক্লাবগুলোকে বহিষ্কার করাই নয়, সংশ্লিষ্ট দলগুলোর কর্মকর্তাদেরও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৫ থেকে ৮ মৌসুমের জন্য।
ম্যাচে শিবুলানি ডেঞ্জারার্স টাইগার্স ৩৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হ্যাপি বয়েজকে এবং এনসামি মাইটি বার্ডসকে ৫৯-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মাতিয়াসি এফসি।
চারটি ম্যাচ নিয়েই তদন্ত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ফুটবল ফেডারেশন। মোপানি রিজিয়নের প্রেসিডেন্ট ভিনসেন্ট রামপাগো বিবিসিকে বলেন, ‘আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে, মাতিয়াসি ও এনসামি চেয়েছে শিবুলানি টাইগার্সকে থামিয়ে দিতে। টাইগার্স এ সময় ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শীর্ষে ছিল। আবার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাতিয়াসির সঙ্গে গোল ব্যবধানও তাদের ১৬টি। শীর্ষে থাকার জন্য তারা ম্যাচ ফিক্সিংয়ে রাজী হয়। যে কারণে একে অন্যকে আটকানোর জন্য ম্যাচের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। দলগুলোর কর্মকর্তাদেরও নিষিদ্ধ করার বিষয়ে রামপাগো বলেন, ‘এসব মানুষগুলোর ফুটবলের প্রতি কোনো সম্মান নেই। আমরা কোনোভাবেই এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতে দিতে পারি না।’
তথ্যসূত্র: গোল ডট কম, বিবিসি
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।